সুন্দরবন কুরিয়ার ও শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটির ইমামুল কবির শান্ত আজ মারা গেলেন | আজই ওনার মৃত্যু হলো – একবারই একমাত্র মৃত্যু, বীরের মতো!
জনাব শান্ত করোনাভাইরাস নিয়ে কনসার্ন্ড ছিলেন, নিজের জন্য যা সেইফটি মেজার নেয়া দরকার তা সব নিয়েছেন, কিন্তু আতংকিত হয়ে স্বার্থপর হননি – যা দেখছি আমাদের মন্ত্রী, মেয়র, এম পি দের মধ্যে |
জনাব শান্তর করোনাভাইরাস তো দুসপ্তাহ আগে হলো| দু তিন মাস আগের কথা, ওনার লেভেলের ধনীরা যখন ধান্দা করছে কিভাবে চার্টার্ড বিমান নিয়ে অথবা মিথ্যাকথা বলে এয়ার এম্বুলেন্স এ করে দেশ ছাড়ার, জনাব শান্ত তখন থেকেই করোনাভাইরাস এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামনে থেকে লড়ছেন| পুরোপুরি পস্চিমা কনসেপ্ট এডাপ্ট করে – তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উন্মুক্ত করে দেন কোভিড সংক্রান্ত কাজে| উনি সবাইকে বারবার বলেছেন – আমরা যেন যে কোন পিপিই শিপমেন্ট এর কাজে সুন্দরবন কুরিয়ার এর ফ্রি সার্ভিসটার সুযোগ নেই|
ঢাকাতে ওনার একটা খালি বড় কমার্শিয়াল ভবন ছিল – উনি ওটাকে কোভিড হাসপাতাল করার জন্যে সরকারকে বিনামূল্যে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন| এবং চেষ্টা করছিলেন ওখানে কিছু একটা করার |
জনাব ইমামুল কবির শান্ত দেশে একটা খুব প্রোগ্রেসিভ ইউনিভার্সিটি খুলেছিলেন – শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি | ওদের ডিপার্টমেন্ট গুলো, কারিকুলাম দেখে এটাকে আমার অনেকটা শান্তিনিকেতনের একবিংশ শতাব্দীর ভার্সন হয়েছে|
শান্ত সাহেব পালিয়ে যান নি, ভয় আতঙ্কে দশবার মরে যাননি, করনার সাথে লড়তে লড়তে একবারই মরেছেন, এটা বীরের মৃত্যু!
Dr. Rumi Ahmed